কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নে আদালতের সেবা বিষয়ক প্রচারনা র্যালী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গ্রাম আদালতের সেবা বিষয়ে ব্যাপক জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে আজ ১৫ অক্টোবর (বুধবার) সকালে এ র্যালীর আয়োজন করা হয়।
“অল্প সময়ে স্বল্প খরছে দ্রুত সঠিক বিচার পেতে চলো যাই গ্রাম আদালতে। আর যাবো না দূরের পথে নিরোধ নিস্পত্তি হয় গ্রাম আদালতে” প্রতিপাদ্যে চট্টগ্রাম জেলার কর্ণফুলী উপজেলার চর পাথারঘাটা ইউনিয়নর পরিষদে গ্রাম আদালতের সেবা বিষয়ক প্রচারণা র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চর পাথরঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব আলহাজ্ব মোহাম্মদ আবু তাহের। এছাড়াও বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ৩য় পর্যায় প্রকল্পের উপজেলা সমন্বয়কারী জনাব বাবুল আরাফাত, চরপাথরঘাটা ইউয়িন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা জনাব আব্দুল মালেক,স্থানীয়গণ্যমান্য ব্যাক্তি কামাল আহাম্মদ,মহববত আলী,মো: নুর আলী,মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন , ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আব্দুর নুর, মাহমুদুল হক, মোহাম্মদ তাহের, আয়েশা বেগম, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলে, কর্ণফুলী উপজেলার নির্বাহী অফিসার জনাব সজিব কান্তি রুদ্রর নিদেশনায় কর্ণফুলী উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী বিশেষ করে নারী প্রতিবন্ধী ব্যাক্তি, জেলা সম্প্রদায়, হিজড়া, চা শ্রমিক, ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠী সহ সকলের বিচারিক সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ব্যাপক জন সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য আজকের এই আয়োজন। বক্তারা আরো বলেন, বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থায় স্থানীয় জন কোন ধরণের বিরোধ বিবাদ হলে যেতে হয় কোটে বা থানায়। এতে করে ভূক্ত ভোগীর সময় ও অর্থ দুইই অপচয় হয়। এচাড়াও শিকার হতে হয় নানা রকমের ভোগান্তির। জনগনের দোর গোড়ায় বিচারিক সেবা প্রদানের জন্য সরকার ২০০৬ সালে আইন করে দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে চালু করেছেন গ্রাম আদালত। গ্রাম আদালতে সবোচ্চ ৩ লক্ষ টাকা মূল্যমানের ছোট-খাটো দেওয়ানী ও ফৌজদারী বিরোধ নিস্পত্তি করা যায়। দেওয়ানী মামলার জন্য মাত্র ২০ টা আর ফৌজদারী মামলার জন্য মাত্র ১০ টাকা ফি দিয়েই বিচার পাওয়া যায়। গ্রাম আাদলতে বিচারের জন্য আইনজীবি নিয়োগ করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফলে পক্ষদ্বয় নিজের কথা নিজে্ই বলতে পারে। নিজের পক্ষে পচন্দ মতো প্রতিনিধি মনোনয়ন করা যায়। হাতের কাছে স্বাক্ষী প্রমান আর বাড়ীর কাছেই ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালত থাকার কারণে বিচার প্রক্রিয়া সহজ হয়। এসকল সেবার বিষয়ে জানে এলাকার স্থানীয় জনগণ। এলাকাবাসীর মাঝে গ্রাম আাদলতের এসকল সেবা বিষয়ক বার্তা পৌছানোর জন্য আজকের এই র্যালী আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের আওতাধীন বড় হাটবাজার, লোকসমাগমে লিফলেট বিতরণ, মসজিদে জুমার নামাজের খুতবায় গ্রাম আদালতের সেবা বিষয়ক আলোচনা চলমান রয়েছে। গ্রামীন জনগোষ্ঠীর বিচারিক সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করছে গ্রাম আদালত। গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলদেশ সরকার, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও ইউএনডিপি বাংলাদেশের সহায়তায় স্থানীয় সরকার বিভাগ বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ৩য় পর্যায় প্রকল্প।
গ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠায় স্থানীয় বিরোধ নিষ্পত্তিতে এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর বিচার প্রাপ্তি নিশ্চিত করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতকে কার্যকর করে গড়ে তুলতে হবে। স্বল্প সময়ে, অল্প খরচে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে গ্রাম আদালতের ভূমিকা অপরিসীম। সারা দেশের প্রতিটি ইউনিয়ের ন্যায় চট্টগ্রাম জেলার কর্ণফুলী উপজেলার ৫টি টি ইউনিয়নে ও চলমান আছে গ্রাম আদালত। এলাকার সকল জনসাধারণে কে স্থানীয় বিরোধ নিস্পত্তির জন্য ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালতে আসার আহবান জাননো হয় চরপাথর ঘাটা ইউনিয়ন পরিষদে আয়োজিত র্যালী ও আলোচনা সভার মাধ্যমে। (প্রেস বিজ্ঞপ্তি)