মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন, কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) : জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে সংসদের উভয়কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু, অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সকলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা, ফ্যাসিষ্ট সরকারের সকল জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা, এবং স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধে দাবিতে আনোয়ারা-কর্ণফুলী জামায়াতে ইসলামীর যৌথ উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯ টায় কর্ণফুলী উপজেলার বড় উঠান রাস্তার মাথা থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে কর্ণফুলী টানেন সংযোগ সড়কে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মাওলানা বদরুল হক।
প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন আনোয়ারা-কর্ণফুলী চট্টগ্রাম ১৩ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক মাওলানা মাহমুদুল হাসান চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ ইসমাইল হক্কানী, কর্ণফুলী উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি মাস্টার মনির আবছার চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক নুর উদ্দিন জাহাঙ্গীরসহ আনোয়ারা কর্ণফুলীর জামায়াতে ইসলামী, যুব ও ক্রীড়া বিভাগ, ছাত্রশিবিরের নেতৃবৃন্দ।
এ সময় অতিথি বলেন সংবিধানের দোহাই দিয়ে পি আর নির্বাচনের বিরোধীতা করা যাবেন, ৩৬ জুলাইয়ে গণআন্দোলনের মধ্যে দিয়ে মানুষ নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছে সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে পি আর নির্বাচনের বিকল্প নেই। এসময় তিনি আরও বলেন-অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সকলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করুন, ফ্যাসিষ্ট সরকারের সকল জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করতে হবে, এবং স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে অধ্যাপক মাওলানা মাহমুদুল হাসান চৌধুরী বলেন- জনগণকে এত বোকা মনে করবেন না, জনগণ সব বুঝে ও জানে। পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে সকল জনগণের ভোটের মূল্যায়ণ হবে। কারো ভোট পচাঁর সুযোগ থাকবে না। এ সময় তিনি আরও বলেন ডাকসু-জাকসুতে যারা নির্বাচিত হয়েছে তারাই আগামীতে জাতীয় নির্বাচনে জয়ে হবে। আগামীর বাংলাদেশ হবে ইসলাম ও ইনসাফের বাংলাদেশ।