মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন, কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) : কর্ণফুলী উপজেলার চাঞ্চল্যকর ও রহস্যজনক স্ত্রীর মৃত্যু ঘটনার ৪৮ ঘন্টা পর পালাতক স্বামী মোহাম্মদ সোলায়মান (৪০) কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন কর্ণফুলী থানা পুলিশ।
কর্ণফুলী থানা সূত্রে জানা যায়, আজ রোববার (৭ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে ঘটনা পরবর্তী বিরতিহীন অভিযানে এসআই মো. মোবারক হোসেন, এসআই মো. মিজানুর রহমান ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আব্দুল্লাহ আল নোমানের টিম পটিয়া উপজেলার শান্তিরহাটের মালিপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেন।
গত শুক্রবার (৫ জুলাই) নাছিমা বেগম (৩৮) নামে মহিলার রহস্যজনক মৃত্যু হয়। স্ট্রোক করে মৃত্যু হয়েছে ধারণা করে মৃত দেহ গোসল করাতে গিয়ে শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে সন্দেহ জাগলে পুলিশকে ৯৯৯ এ কল করেন নিহতের পরিবার। তখন সটকে পরেন নিহত নাছিমা বেগম এর স্বামী মোহাম্মদ সোলায়মান।
নিহত নাছিমা ইয়ংওয়ান প্রতিষ্ঠানের কেএসআইর ডাউন অপারেশন পদে কর্মরত ছিলেন। সে কর্ণফুলীর চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের সেকান্দর মিয়ার মেয়ে। নিহত নাছিমা তার প্রথম স্বামী আকতারের ঘরের ছেলে কামরুল হাসান ইমন (১৮) এবং মেয়ে কানিজ ফাতেমা ইমুসহ (১৩) চরলক্ষ্যা গ্রামের মহিউদ্দিনের ভাড়া ঘরে এক বছর যাবত বসবাস করে আসছেন। বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে নাছিমার দ্বিতীয় স্বামী মোহাম্মদ সোলায়মান ভাড়া বাসায় আসেন। মেয়ে ইমু তখন বাসায় ছিলেন। একই রাতে তাদের মধ্যে ঝগড়াঝাটি হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়-সকাল ৮টার দিকে মেয়ে ঘুম থেকে উঠে দেখে মা সামনের রুমে গায়ে কম্বল জড়িয়ে শায়িত আছে। ছেলে ইমন ঘরে এসে তার মাকে ডাকলে কোন সাড়া-শব্দ না পেয়ে হাত-পা ধরে দেখে হাত-পা ঠাণ্ডা হয়ে আছে। পরে তারা লাশের দাফনের ব্যবস্থা করতে গিয়ে দেখেন নাছিমার গলায় কালো দাগ এবং জিহ্বা বাহির করে দাঁতে কামড় দেয়া অবস্থা রয়েছে। এটা দেখে সন্দেহ হলে তারা ৯৯৯-এ কল করেন। পরে কর্ণফুলী থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এ বিষয়ে কর্ণফুলী থানার ওসি মো: জহির হোসেন বলেন, চলক্ষ্যায় স্ত্রীর খুনের দায়ের করা মামলায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে পালতক স্বামী মোহাম্মদ সোলায়মানকে গ্রেফতার করেছে, তবে এ মুহূর্তে বিস্তারিত বলা সম্ভব নয়, মৃত্যুর আলামত সংগ্রহসহ আরো কিছু অভিযান চলমান রয়েছে।
Discussion about this post