নীলফামারীর সৈয়দপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি খুবই কম। কোন কোন কেন্দ্রে একেবারেই নাই। ফলে অনেক কেন্দ্রে দুই ঘণ্টায় মাত্র ১টি ভোট পড়েছে। এসব কেন্দ্রে সকাল ১০ টায় গিয়ে ভোটার শূন্য দেখা গেছে। পৌর এলাকার অধিকাংশ কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতির চিত্র এমনই। একই অবস্থা উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নের। শহরের আদর্শ বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ কেন্দ্রে সকাল ১০ টা ১০ মিনিটে প্রিজাইডিং অফিসার সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের প্রভাষক সাকেরুজ্জামান জানান, বিগত দুই ঘণ্টায় এই কেন্দ্রে একজন ভোটারও ভোটাধিকার প্রয়োগ করেননি। এই কেন্দ্রে মোট ভোটার ৬৪৫ জন।এরপর পাশের নয়াবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়েও দেখা যায় আনসার ভিডিপি সদস্য, পুলিশ ও পুলিং এজেন্ট ও ভোট গ্রহণ কর্মকর্তারা ছাড়া ভোটার নাই। এই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার সৈয়দপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক কামরুল হাসান জানান, সকাল ১০ টা পর্যন্ত মোট ২৬ জন ভোট দিয়েছেন। এদিকে শহরের প্রাণকেন্দ্র সৈয়দপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মাহমুদুল হাসান বলেন, এই কেন্দ্রে মোট ভোটার ৩৪৮৪ জন। এর মধ্যে দুই ঘণ্টায় মাত্র ১০০ ভোট পড়েছে।ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের ২৯৫০ ভোটারের মধ্যে মাত্র ৯ জন ভোট দিয়েছেন। এই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সাইফুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
মহিলা কলেজ কেন্দ্রে সকাল ১০ টা পর্যন্ত ৬০ টি ভোট পড়েছে। এখানে ভোটার সংখ্যা ২৫০৯ জন। প্রিজাইডিং অফিসার উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার মাহফুজার রহমান বলেন, মূলত সকালে শহরের লোকজন বাজার সদাই করা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। কারণে এমন অবস্থা দাঁড়িয়েছে। দুপুর নাগাদ এই পরিস্থিতি উন্নতি হতে পারে।এছাড়া সানফ্লাওয়ার স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে মাত্র ৪৭ টা এবং কয়ানিজপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১৮৫১ ভোটের মধ্যে ১১২ টা ভোট পড়েছে। গ্রামাঞ্চলেও দুপুর ১২ টা পর্যন্ত ভোট কেন্দ্র এগুলোতে শতকরা ১ থেকে ২ ভাগ হারে ভোটার ভোট দিয়েছে।
ভোট কেন্দ্রের বাইরেও কর্মী সমর্থক ছাড়া সাধারণ মানুষের আনাগোনা কম। আর ভোটারতো নেই-ই। অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে ভোটের প্রতি জনগণের আগ্রহ নাই বলে মন্তব্য করেছেন ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তারা সহ প্রার্থীদের কর্মী সমর্থকরা। (তথ্যসূত্র : দৈনিক মানবজমিন)
Discussion about this post