নিজস্ব প্রতিবেদন : চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় দুপুরে শুরু হওয়া ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে নগরীর নিম্নাঞ্চলে প্লাবিত হয়েছে। অনেক এলাকায় দেখা গেছে জলজটের। হঠাৎ করেই এভাবে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত ও জলজটের কারণে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। টানা বৃষ্টিপাতের সঙ্গে ঝড়ো বাতাসের কারণে নগরীসহ চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড, মিরসরাই ও কক্সবাজার রোডে বড় গাছ সড়কের ওপর আছড়ে পড়েছে। এতে চট্টগ্রাম-ঢাকা ও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের যান চলাচলও কোথাও কোথাও বন্ধ হয়ে গেছে। জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদ, চৌমুহনী, দেওয়ানহাট, মাদারবাড়ি, চকবাজার, ইপিজেড, জিইসি মোড়, হালিশহর, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, পাঁচলাইশ, দুই নং গেইট, বাকলিয়া, চাঁদগাওসহ শহরের বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চলে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। নগরীর কাজীর দেউড়ি এলাকার সার্কিট হাউজের পাশে দুটি বেশ পুরাতন গাছ বাতাসের চাপে গোড়াসহ উপড়ে পড়ে সড়কে যানবাহন চলাচল একপাশে বন্ধ হয়ে গেছে। বেশ কয়েকটি এলাকায় এরকম বড়-ছোট গাছ পড়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। কালবৈশাখীর তাণ্ডবে নগরীর বিভিন্ন কলোনির কাঁচাঘরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। উড়ে গেছে বিভিন্ন বাড়ির চাল। পাহাড়ে যারা বসবাস করছেন তাদের ঘরবাড়ির কি অবস্থা সেটা জানা সম্ভব হয়নি। তবে ঝড়ো বৃষ্টিপাত ও বাতাসের কারণে কয়েক এলাকায় বিদ্যুতের খুঁটি ট্রান্সমিটারসহ ভেঙে সড়কে পড়ে যাওয়ায় বেশ কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ আছে।
এদিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়ার আমজুরহাট, কমলমুন্সির হাট, বাইপাস ও চন্দনাইশের কাঞ্চননগর এলাকায় সড়কের ওপর গাছ উপড়ে পড়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড ও মিরসরাই উপজেলার কয়েকটি স্থানে গাছ পড়ে যান চলাচলে বাঁধার সম্মুখীন হচ্ছে।
চট্টগ্রামের পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মেঘনাত তঙ্গচঙ্ঘা জানান, বিকেল তিনটা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ৩২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বিকেল ছয়টা পর্যন্ত সেটা আরো বেশি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। গতকালের আবহাওয়া অফিসের হিসেবে আজ বৃষ্টিপাত হওয়ার কথা ছিলো। যেহেতু তিনঘণ্টা পরপর আমরা আপডেট দিই সে কারণে চট্টগ্রামের দুপুরের পরে কি পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে সেটা জানতে বিকেল ৬টা বাজবে। সামনে আরো বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে।
Discussion about this post