চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালি থানার ফিরিঙ্গিবাজার এলাকায় তরমুজের আড়তে অভিযান পরিচালনা করেছেন জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।সোমবার (১৮ মার্চ) বিকেলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্তের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এসময় ক্রয়-বিক্রয় রশিদ যথাযথভাবে সংরক্ষণ না করার দায়ে দুটি প্রতিষ্ঠানকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এর মধ্যে ইসলাম ট্রেডার্স নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে ৫ হাজার এবং মদিনা ফার্মকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।জেলা প্রশাসন জানায়, নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের অংশ হিসেবে সোমবার ফিরিঙ্গিবাজারে তরমুজের পাইকারি আড়তগুলোতে ক্রয়-বিক্রয় রশিদ, মূল্যতালিকা ও রেজিস্টার খতিয়ে দেখা হয়। এসময় প্রতিটি তরমুজ ২০০ থেকে ৩৩০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হতে দেখা যায়। অথচ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে ৫ থেকে ৭ কেজি ওজনের প্রতিটি তরমুজের উৎপাদন খরচ ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। কৃষকরা সাধারণত বিক্রি করেন ৮৫ থেকে ১০০ টাকা। এর সঙ্গে পরিবহন ও অন্যান্য খরচ যুক্ত হয়ে সর্বোচ্চ দাম হতে পারে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা। কৃষি বিপণন আইন অনুযায়ী যেকোনো ফলে উৎপাদন পর্যায়ে সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ এবং পাইকারি পর্যায়ে ২০ শতাংশ লাভের বিধান রয়েছে।
এ অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির জন্য তাদেরকে চূড়ান্তভাবে সতর্ক করা হয় এবং ক্রয়-বিক্রয় রশিদ যথাযথভাবে সংরক্ষণ না করায় দুটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়।
জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, বাজারে আমাদের কঠোর নজরদারি অব্যাহত আছে। চিনি, চাল, এলাচ, সেমাই, খেজুর, তরমুজসহ বিভিন্ন পণ্যের পাইকারি বাজারে ইতোমধ্যে অভিযান চালানো হয়েছে। ভেজালবিরোধী অভিযান চলমান রয়েছে। আমাদের ম্যাজিস্ট্রেটরা নিয়মিত বাজার তদারকি করছেন। কোনোভাবেই বাজারকে অস্থিতিশীল করা যাবে না।
অভিযানে সহকারী কৃষি বিপণন কর্মকর্তা আবু বকর এবং কোতোয়ালি থানা পুলিশের একটি টিম উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post