রাজধানীর বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে নিহত সাংবাদিক বৃষ্টি খাতুনকে পারিবারিক কবরস্থানে বড় চাচার পাশে সমাহিত করা হয়েছে।সোমবার রাত ৮টা ২০ মিনিটের দিকে বৃষ্টি খাতুনের লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বেতবাড়িয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বনগ্রাম পশ্চিমপাড়ায় পৌঁছায়।
এ সময় বৃষ্টির লাশ একনজর দেখার জন্য শোকার্ত স্বজন ও গ্রামের মানুষের ঢল নামে।
ঢাকায় লাশ হস্তান্তরের খবর নিশ্চিত হওয়ার পর নিহতের দাফনের প্রস্তুতি নেয়া হয়। বৃষ্টির বড় চাচা মোবারক শেখের কবরের পাশে তার কবরের জায়গা নির্ধারণ করা হয়।
বিকেলে নিহতের গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সন্ধ্যার পর পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা, উপজেলা চেয়ারম্যান বাবুল আখতার, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনুনর যায়েদ, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বর আব্দুল মজিদসহ আরো অনেকে বৃষ্টির বাড়িতে উপস্থিত হয়।
রাত পৌনে ১০টার দিকে বনগ্রাম পশ্চিম পাড়ার জামে মসজিদের মাইকে বৃষ্টির জানাজার ঘোষণা দেয়া হয়। এরপর নিজের বাড়ির আঙ্গিনায় জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার পরে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে চাচা মোবারক শেখের কবরের পাশে বৃষ্টিকে সমাহিত করা হয়।
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে নিহত হন বৃষ্টি খাতুন। পরিচয় জটিলতার কারণে বৃষ্টি ও তার মা-বাবার ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট এলে ১১ দিন পর আদালতের মাধ্যমে সোমবার বিকেলে নিহতের বাবা সবুজ শেখের কাছে শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটের মর্গ থেকে সাংবাদিক অভিশ্রুতি শাস্ত্রী নামে পরিচিত বৃষ্টি খাতুনের লাশ হস্তান্তর করা হয়। (সূত্র : নয়াদিগন্ত)
Discussion about this post