মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন, কর্ণফুলী, চট্টগ্রাম।
‘সাম্পানের ইঞ্জিন রয়েছে সচল, অচল হয়ে গেছে মাঝির ইঞ্জিন’ হটাৎ মাঝির মৃত্যু শিরোনামে সিরাজুল ইসলাম হৃদয় নামের যুবকের পোষ্টটি স্যোশাল মিডিয়ায় মুহূর্তের মধ্যে ঝড় তুলে। শেয়ার করতে থাকে কর্ণফুলীসহ স্যোশাল মিডিয়া ফেসবুক ব্যবহারকারীরা। এমন এক করুণ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে কর্ণফুলী নদীতে। ভিডিওটি তে দেখা যায় – টেম্পু ( ইঞ্জিন চালিত নৌকা) টি মাঝিবিহীন মাঝ নদীতে ঘুরছে। টেম্পুটি ধরার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে আরো দুইজন মাঝি শেষ পর্যন্ত তারা নিশ্চিত হলেন উক্ত টেম্পুতে থাকা মাঝি মৃত্যু বরণ করছে।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মাঝ নদীতে খালি নৌকায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মাঝি পেয়ার আহমদ।
শুক্রবার (৮ মার্চ) দুপুর একটার দিকে জুলধা ডাংগারচর এলাকার বাসিন্দা যুবলীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম হৃদয় তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এ ঘটনার ভিডিও প্রকাশ করেন। মৃত্যু বরণকারী ব্যক্তিটি পেয়ার আহমদ কর্ণফুলী থানার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড ইছানগর গ্রামের বাদশা ফকিরের বাড়ির শাইর আহমদের ছেলে।
কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লোকমান দয়াল বলেন, ‘পেয়ার আহমদ ব্রিজঘাট থেকে বাংলাবাজার ঘাটে যাত্রী পারাপার করতেন। এস আলম চিনিকলের বর্জ্যে মাঝ নদীতেও মাছ ভেসে উঠছিল। বাংলাবাজার ঘাটে যাত্রী নামিয়ে দিয়ে পেয়ার আহমদ মাঝ নদীতে মাছ ধরতে যান। কিন্তু মাঝ নদীতে গিয়েই মাথা ঘুরে নৌকায় পড়ে যান পেয়ার। তবে ইঞ্জিন চালু থাকায় সেসময় নৌকাটি চক্রাকারে ঘুরছিল। পরে আমাদের অন্য দুটি নৌকা গিয়ে তার নৌকাটি তীরে নিয়ে আসে এবং পেয়ার আহমদকে উদ্ধার করে। অচেতন অবস্থায় পেয়ার আহমদকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে তিনি মৃত ঘোষণা করেন।’
লোকমান দয়াল বলেন, ‘পেয়ার আহমদের বয়স আনুমানিক ৪২ বছর। তার তিন মেয়ে এক ছেলে আছে। কর্ণফুলী নদীতে সাম্পানে যাত্রী পারাপার করে সংসার চালাতেন। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে জানাজা শেষে তার দাফন সম্পন্ন হয়।’
Discussion about this post