রকমারী ডেস্ক : সুন্দরের প্রতি বরাবরই মানুষের আকর্ষণ বেশি। বর্তমানে বিয়ে করার সময় পাত্রী দেখতে গেলে আমরা সাধারণত গুণের চেয়ে চেহারার সৌন্দর্যতে প্রাধান্য দিয়ে থাকি। তবে বয়োজ্যেষ্ঠরা পাত্রী দেখার ক্ষেত্রে সাধারণত গুণ নারীদের বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে।
তবে প্রশ্ন আছে অনেকে কেমন নারী বিয়ে করবেন। গুণী বা সুন্দরী। বিয়ে হচ্ছে একটি ধর্মীয় বিধান। বিয়ে হচ্ছে একটি পারিবারিক বন্ধন। একজন পুরুষ ও নারীর মধ্যে বিভিন্ন ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার মাধ্যমে বিয়ে সম্পূর্ণ হয়ে থাকে। এ বিবাহিত জীবন মৃত্যু পর্যন্ত গড়ায়। আবার অনেকের অল্প দিনে সংসার ভেঙে যায়।
তাই বিয়ে করার আগে অনেক আগপাছ চিন্তা করে বিয়ে করা উচিত। যেন সারা জীবন আপনাকে বয়ে বেড়াতে না হয়।
আসুন জেনে নেই বিয়ে করতে কেমন পাত্রী পছন্দ করবেন গুণী না সুন্দরী। তবে গুণী নারীদের বেশি প্রাধান্য দিতে বলা হয়েছে।
সরল ও সত্যবাদী : বিয়ে জন্য সরল ও সত্যবাদী নারীকে পছন্দ করুন। কারণ যার সঙ্গে আপনার সারা জীবনের হিসাব-নিকাশ যদি মিথ্যাবাদী হয় তবে আপনি বিপদে পড়বেন।
ধর্মান্ধ নয়, ধর্মবিশ্বাসী : বিয়ের জন্য ধর্মান্ধ নয়, ধর্মবিশ্বাসী নারীকে বিয়ে করুন। এ ধরনের নারীরা সংসারের জন্য মঙ্গলজনক। তিনি সারা জীবন আপনার সঙ্গে মানিয়ে চলতে পারবে।
সংসারী নারী : বিয়ের জন্য অবশ্যই সংসারী নারী বিয়ে করা উচিত। যেসব নারীদের সংসারে মন নেই তারা কখনোই আপনাকে সুখী করতে পারবে না।
বই পড়া নারী : বই পড়া যে কোনো মানুষের একটি বড় গুণ। বই মানুষের সৃজনশীল মেধা তৈরি করে, যা আপনার সংসারে ও সন্তানদের জন্য ভালো। এছাড়া বই পড়া নারীরা শান্ত প্রকৃতির হয়। তারা কখনো অন্যের দোষ খুঁজে বেড়ায় না।
শিক্ষিত : বিয়ে পাত্রী দেখার সময় শুরু রীপ নয়, তার গুণ ও শিক্ষাকে প্রাধান্য দেবেন। কারণ একজন শিক্ষিত মা শিক্ষিত জাতি উপহার দিতে পারেন।
সৎ ও চরিত্রবান : আপনার পতœীকে অবশ্যই সৎ ও চরিত্রবান হতে হবে। স্ত্রী যদি সৎ ও চরিত্রবান না হন তবে সংসার জীবনে আপনি সুখের মুখ দেখবেন না।
দায়িত্ববান : সংসার করার জন্য দায়িত্ববান নারী খুবই প্রয়োজন। কারণ শ্বশুর-শাশুড়ি থেকে শুরু করে সন্তান ও আপনার দায়িত্ব নিতে পারে এমন নারীকে ঘরনি বানান।
এ ধরনের নারীদের বিয়ে করলে সুখী হওয়ার সম্ভাবনা শতভাগ। তবে নারীরও জীবনসঙ্গী পছন্দ করার ক্ষেত্রেও এই বিষয়গুলো অবশ্যই বিবেচনা করবেন।
Discussion about this post