মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন, কর্ণফুলী : আইসক্রিম ছোট বড় সবার কাছে লোভনীয় একটি পন্য। বিশেষ করে প্রচন্ড গরমে- তীব্র খরতাপে শিশু, তরুন, যুবক সব মানুষের প্রান জুড়ায় অনন্য স্বাদের আইসক্রিম।
কর্ণফুলীতে গড়ে উঠেছে বিএসটিআই এর অনুমোদনবিহীন নামে বেনামে বেশ কয়েকটি আইসক্রিম ফ্যাক্টরী। বছরের পর বছর ধরে গড়ে উঠা এসব ফ্যাক্টরীগুলোতে আইসক্রিম তৈরীতে অপরিশুদ্ধ নোংরা পানির সঙ্গে ঘনচিনি, আটা, ময়দা, সেকারিন ও বিভিন্ন কালারের রঙ মিশিয়ে স্যাঁতস্যাঁতে নোংরা পরিবেশে তৈরী হচ্ছে আইসক্রীম। অবৈধ এই কারখানায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরিকৃত আইসক্রিম খেয়ে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ভুগছে শিশুসহ সাধারন মানুষ।
কর্ণফুলী উপজেলা প্রশাসনের সঠিক নজরদারি না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে বীরদর্পে চালিয়ে যাচ্ছে অবৈধ এই আইসক্রিম কারখানাগুলো।
গতকাল বুধবার (২১ মে) সকালে শিকলবাহা ৩নং ওয়ার্ড আজিজ মার্কেটস্থ নিউ হাবীবা আইসক্রিম নামের ফ্যাক্টরীটিতে স্যাঁতস্যাঁতে নোংরা পরিবেশে আইসক্রিম উৎপাদন করে বিভিন্ন নামিদামী ব্যান্ডের মোড়কে বাজারজাত করা হচ্ছে।
নোংরা পরিবেশে তৈরিকৃত এসব আইসক্রিম স্কুল- কলেজের সামনে ও ফুটপাতে দেদারসে বিক্রি হচ্ছে। এসব আইসক্রীম তৈরীতে ব্যবহৃত হচ্ছে মানব দেহের জন্য ক্ষতিকারক ঘনচিনি যাকে বৈজ্ঞানিক ভাষায় সোডিয়াম সাইক্লোমেড বলা হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্যও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ জেবুন্নেছা কেয়া বলেন, অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে তৈরিকৃত এসব খাদ্য শিশু স্বাস্থের জন্য মারত্বক হুমকি স্বরূপ। এসব আইসক্রিম খেলে ডায়রিয়া, আমাশয় ও শিশুদের দেহে টাইফয়েডের সম্ভাবনা থাকে। এসব আইসক্রিম সোডিয়াম সাইক্লোমেড নামক ঘনচিনি ব্যবহৃত হয় যা খেলে শিশুদের বিভিন্ন ধরনের পেটের অসুখ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) রয়া ত্রিপুরার নিকট মন্তব্য চাওয়া হলে তিনি নবীন কণ্ঠ বিডিকে জানান বিষয়টি আমরা গুরুত্বসহকারে দেখছি অভিযানের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থ নেওয়া হবে।