মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যাচেষ্টা মামলায় দৈনিক পূর্বদেশ ও যুগান্তর পত্রিকার পটিয়া-কর্ণফুলী প্রতিনিধি সাংবাদিক আবেদ আমিরীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
গতকাল বুধবার (১৯ মার্চ) রাত ১১ টায় পটিয়া থেকে গ্রেফতারের পর হালিশহর থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে প্রেরণ করলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করে।
র্যাব-৭-এর স্টাফ অফিসার ও সহকারী পুলিশ সুপার এআরএম মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে হামলার অভিযোগে নগরের হালিশহর থানায় দায়ের করা একটি মামলার আসামি আবেদুজ্জামান আমিরী। এ মামলায় তাকে গ্রেফতার করে হালিশহর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
হালিশহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান দৈনিক জনবাণীকে জানান” ‘আবেদকে পটিয়া থেকে র্যাব গ্রেফতার করে বুধবার রাতে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছিল।
সূত্রে জানা যায়- সে গত ৪ আগস্ট পটিয়ায় সারাদিন তার সহপাঠীদের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে। কেননা ওইদিন দিনভর ছাত্র-জনতার সঙ্গে আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। পরদিন দৈনিক যুগান্তর ও দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকায় এসব ঘটনার সংবাদ তার নামসহ ছাপা হয়।
এখন জনমনে প্রশ্ন তিনি পটিয়ায় থেকে হালিশহরে কীভাবে হামলা করেছেন। তাকে পরিকল্পিতভাবে এ মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
হালিশহর থানায় দায়ের করা মামলার বিবরণে বলা হয়, গত বছরের ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে মামলার বাদী সাজ্জাদ আহমেদ সাদ্দাম ও তার ফুফাতো ভাই ঘর থেকে বের হলে সিআরবি তিন রাস্তা এলাকায় তাদের গুলি করা হয়। এতে তার ফুফাতো ভাই গুলিবিদ্ধ হন।
গত ২০ আগস্ট হালিশহর থানায় করা মামলাটিতে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুর সবুর লিটনকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে সেখানে অজ্ঞাত আরও ২০০-২৫০ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় ২৯ নম্বর আসামি করা হয়েছে আবেদুজ্জামান আমিরীকে।
এদিকে সাংবাদিক আবেদকে মুক্তি না দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কর্ণফুলী প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ। তার মুক্তির দাবীতে শুক্রবার বিকাল ৩টায় উপজেলার মইজ্জ্যারটেক চত্বরে মানববন্ধনের ডাক দেওয়া হয়েছে।