মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন, কর্ণফুলী :
ব্যবসায়িক দন্দ্ব নিয়ে মসজিদ থেকে ফিরার পথে কর্ণফুলী উপজেলার ইছানগর থেকে গত বুধবার (৬ মার্চ) শহীদুল আলম জুয়েল (৩১) নামের এক যুবককে অপহরণ হয়।
দেশের চলমান পরিস্থিতিতে অপহরণ হওয়ার ৫ ঘন্টার ব্যবধানে অপহরণকারীদের হাত থেকে জুয়েলকে উদ্ধার করে কর্ণফুলী উপজেলার সর্ব মহলের নিকট প্রশংসিত হয়েছেন কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শরীফ।
চট্টগ্রাম মহানগর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম ভাঙ্গিয়ে একটি চক্র ব্যবসায়িক স্বার্থ হাছিল করার জন্য ইছানগর মইন্ন্যার গুষ্ঠি ব্যবসায়ি ও সমাজ সেবক শাহ আলম সওদাগরের বড় ছেলে জুয়েলকে অপহরণ করে। এসময় জুয়েল এর পরিবারের নিকট ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অন্যথায় তার প্রাণনাশের হুমকি দেয়। বিষয়টি মিডিয়ায় মাধ্যমে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শরীফ এর নজরে আসলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ
(সিএমপি), র্যাব -৭ ও টহলরত সেনাবাহিনী টিমকে অবগত করে ৫ ঘন্টার ব্যবধানে জুয়েলকে মুক্তিপণবিহীন ও সুস্থাবস্থায় উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে জুয়েলের মা আয়েশা বেগম বলেন, এলাকায় একটি মহল আমার কলিজার ধন জুয়েলকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে প্রোপাগাণ্ডা ছড়িয়ে দেয়। আমার অপর দুই ছেলে ও আত্মীয়স্বজন কর্ণফুলী, কোতোয়ালি ও চান্দগাঁও থানায় খোঁজ নিয়ে জানতে পারে তাকে গ্রেফতার করা হয়নি অপহরণ করা হয়েছে। এ অবস্থায় কর্ণফুলী থানার ওসি সক্রিয় ভূমিকা না রাখলে হয়তো আমার ছেলেকে হারাতে হতো। আমি আল্লাহর দরবার উনার জন্য মঙ্গল কামনা করছি।
এ বিষয়ে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শরীফ বলেন এটি আমার কর্তব্য ছিল তাছাড়া চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) অন্যান্য থানা ও টহলরত সেনাবাহিনী আমাদের সহযোগিতা না করলে তাকে এত দ্রুত উদ্ধার করা সহজ হতো না।