সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ভোররাত ৩টার দিকে চকরিয়ার উপজেলার উত্তর হারবাং গয়ালমারা স্টেশন এলাকায় এ দুর্ঘটনায় ৬ মাসের শিশুপুত্রসহ মায়ের মৃত্যু হয়েছে। একই দুর্ঘটনায় গুরুত্বর আহত হয়েছেন আইরিনের কলেজ পড়ুয়া ভাই আবির (১৭)।
নিহত আইরিন সুলতানা (৩০) কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান (৩নম্বর ওয়ার্ড) ফাজিল খাঁর হাট আলী আহমদ চেয়ারম্যান বাড়ির ব্যাংকার মো. নোমানুর রশিদের (৩৪) স্ত্রী। ২০২৩ সালে সামাজিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। কক্সবাজারের রামু এলাকায় আইরিনের বাড়ি।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মারা গিয়েছিলেন আইরিন সুলতানার বাবা। সেই খবরে কক্সবাজার রামুর নিজ বাড়িতে গিয়েছিলেন আইরিন। ঠিক ৯ দিন পর মারা গেলেন আইরিনের শাশুড়ি ফাতেমা বেগম (৬৫)। সেই খবরে ৬ মাসের বাচ্চা নিয়ে শ্বশুর বাড়ি ফিরছিলেন আইরিন।
সূত্রে জানা যায়, আইরিনের ব্যাংকার স্বামী নোমানুর রশিদ মা-স্ত্রী এবং একমাত্র সন্তান আহসানকে হারিয়ে বার বার কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এদিকে একসঙ্গে এত মৃত্যুর শোক সইতে পারছে না কেউ। পুরো এলাকা যেন শোকের মাতমে পরিনত হয়।
নোমানুর রশিদের ভাই আমিনুর রশীদ বলেন, আমার মা গতরাত বারোটার দিকে ইন্তেকাল করেন। সেই খবর ভাইকে দিয়েছিলাম। ভাই তার নোয়াখালী লক্ষ্মীপুর থেকে আসলেও তার স্ত্রী ও ছয় মাসের বাচ্চাঁ এক্সিডেন্টে মারা যায়।
স্থানীয়রা বলছেন, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ। সরকার, চালক, মালিক, শ্রমিক ও যাত্রী সবাইকে সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে- মনে রাখতে হবে, সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশি।
চিরিংগা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল আমিন বলেন, বাস ও ট্রাকের সংঘর্ষে মা ও শিশু নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটি জব্দ করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।