মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন, কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) : চট্টগ্রাম মহানগরের সাথে দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও বান্দরবান-কক্সবাজারের অন্যতম যোগাযোগ পথ শাহ শাহ্ আমানত সেতুতে গাড়ি বৃদ্ধি পেয়ে প্রতিদিন ২৬-২৭ হাজার যান চলাচল করছে। শুক্রবারসহ সরকারি বন্ধের দিনে যুক্ত হচ্ছে আরো ১২-১৫শত গাড়ী ফলে নিয়মিত দীর্ঘ যানজট লেগে থাকে। এর থেকে উত্তোলণের লক্ষে শাহ্ আমানত টোল প্লাজার ৮টি লেন এর সাথে নতুন করে যুক্ত হচ্ছে বাড়তি ২টি লেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে টোলপ্লাজা এলাকা পরিদর্শনে দেখা যায়-টোলপ্লাজা থেকে মইজ্জ্যারটেক চত্বর পযর্ন্ত রাস্তার দুইপাশে মাটি ভরাটের চলছে।
সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর শাহ আমানত সেতু চালু হয়। টোল প্লাজায় তিনটি করে উভয়দিয়ে ৬টি লেন নিয়ে সেতুর কার্যক্রম চালু হয়। সেতুর ওপর যানবাহনের চাপ অত্যধিক হওয়ার কারণে ৩ বছর আগে টোলপ্লাজার দুই পাশের অযান্ত্রিক যান চলাচলের জন্য রাখা ফ্রি টোল লেন দুটির পরিসর বাড়িয়ে ছোট যানবাহন চলাচলের উপযোগী করে করা হয়।
সওজ চট্টগ্রাম বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোসলেহ উদ্দিন বলেন, শাহ আমানত সেতুর টোল প্লাজা এলাকায় এখন নিয়মিত যানজট হচ্ছে। বিশেষ করে সরকারি ছুটির দিনগুলোতে গাড়ির জট বেড়ে যায়। এ যানজট নিরসনে টোল প্লাজার দুই পাশে আরও দুটি লেন বাড়ানোর হচ্ছে।
দীর্ঘ যানজট সৃষ্টির পিছনে গাড়ি বৃদ্ধির পাশাপাশি আরো কিছু কারণ উল্লেখ করে টোল প্লাজার প্রোজেক্ট ম্যানেজার সুমন ঘোষ বলেন- গত ৫ আগষ্ট পরবর্তী দক্ষিণ চট্টগ্রাম থেকে চট্টগ্রাম মহানগরে যাতায়াত করছে ব্যাটারী চালিত রিক্সা ও গ্রাম সিএনজি যার ফলে টোল আদায়ে কিছুটা সমস্যা বেড়েছে। এছাড়াও প্রায় গাড়ি খুচরা টাকার বদলে ৫শত-১ হাজার টাকার নোট দিয়ে থাকে। খুচরা টাকা আদান প্রদান করতে গিয়ে কিছুটা সময় বিনষ্ট হচ্ছে তার মধ্যে জাল নোট সনাক্ত করারও কিছুটা সময় লাগে। ফলে একটি গাড়ি থেকে টোল নিতে যেখানে ৩০ সেকেন্ট থেকে ১ মিনিট সময় লাগতো সেখানে ২ থেকে ৩ মিনিট সময় লাগছে। আর একটি অন্যতম কারণ হচ্ছে কিছু গাড়ির নাম্বার প্লেট ভাঙা ও ঝাপসা ফলে সিসি ক্যামরায় নাম্বার দেখা বা জেনে নিতে সময় নষ্ট হচ্ছে।
টোল প্লাজা সূত্রে জানা যায়- প্রতিদিন তিন সিফটে ৮টি বুথে ২জন করে ৩৬ জন টোল আদায়কারী নিয়মিত দায়িত্ব পালন করেছে। আইন শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে নিয়োজিত রয়েছে ১৭ জন আনসার বাহিনী।
এদিকে টোলপ্লাজায় নতুন দুই লাইনের কাজের দৃশ্যমান হওয়ায় দক্ষিণ চট্টগ্রামবাসী স্বতি বিরাজ করছে। এবিষয়ে কর্ণফুলী উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মোহাম্মদ মনির আবছার চৌধুরী দৈনিক জনবাণীকে জানান- শাহ আমানত সেতু টোলপ্লাজার যানজট কর্ণফুলী উপজেলাসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামবাসীর অভিশাপে পরিণত হয় এর থেকে পরিত্রানের লক্ষে টোলপ্লাজা কর্তৃপক্ষের সাথে স্বাক্ষাতে মিলিত হয় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ও কর্ণফুলী উপজেলা প্রতিনিধিবৃন্দ। এসময় তিনি আরও বলেন, টোলপ্লাজায় লাইন বৃদ্ধির কাজ চলমান দেখে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে দক্ষিণ চট্টগ্রামবাসী।
এ বিষয়ে কর্ণফুলী উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক গিয়াস উদ্দিন ফারুকী বলেন-টোলপ্লাজায় সম্প্রতি সময় দীর্ঘ যানজটের ফলের কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। নতুন দুই লাইন নির্মাণের ফলে টোলপ্লাজা এলাকা যানজটমুক্ত হবে সেই প্রত্যশা করছি।