* প্রচার-প্রচারণা ছাড়া তাড়াহুড়া করে আয়োজন
মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন, কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) : কর্ণফুলী উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা (এডহক কমিটি)’র উদ্যোগে তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট বালক-বালিকা (অনুর্ধ্ব-১৭) আয়োজন দর্শকরা যেন বয়কট করেছেন! গতকাল বুধবার (১৫ জানুয়ারী) কর্ণফুলী উপজেলার সিডিএ’র মাঠে দেখা গেছে এমন দৃশ্য। অতীতে কর্ণফুলী উপজেলায় ঘরোয়া ফুটবলেও এর চেয়ে বেশি দর্শক দেখা গিয়েছে, করেছে আনন্দ উল্লাস।
এনিয়ে খেলা দেখতে আসা কয়েকজন দর্শক মন্তব্য করেছেন- ফুটবল টুর্ণামেন্টের আয়োজনের নামে উপজেলা প্রশাসন ও ক্রীড়া সংস্থা আনুষ্ঠানিকতা সেরেছেন। এসব আয়োজন খেলোয়াড়দের নিরুৎসাহিত করবে, উপজেলাবাসী বঞ্চিত হচ্ছে নির্মল আনন্দ থেকে।
সকাল ৯টায় উদ্বোধনী অনুষ্টানে আয়োজক কমিটি ও প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং পাঁচ দলের খেলোয়ার-টিম ম্যানেজার মিলিয়ে তিন শতাধিক লোকের উপস্থিতি থাকলেও ম্যাচ চলাকালীন দর্শকের উপস্থিতি দাঁড়ায় শতাধিক মত। শিকলবাহা ইউনিয়ন বনাম চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের মধ্যে অনুষ্ঠিত প্রথম ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে গোল করে শিকলবাহা ইউনিয়ন। চমৎকার লং কিক (ফ্রি শট) থেকে গোলের দেখা পায় শিকলবাহা ইউনিয়ন দলটি, তবে দলকে উৎসাহিত করার জন্য মাঠে খুঁজে পাওয়া যায়নি দলের সমর্থকদের।
পরে ১০ মিনিটের মাথায় অনাঙ্খিতভাবে গোল পরিশোধ করে চরলক্ষ্যা ইউনিয়ন দল। ১-১ গোলে সমতার মধ্যে দিয়ে খেলা গড়ায় ট্রাইবেকারে এবং শিকলবাহা ইউনিয়ন ১ গোলের ব্যবধানে জয়লাভ করে। তখন গোল পোষ্টের পিছনে ও আশেপাশে শতাধিক দর্শক সমর্থক দাঁড়ানো ছিল।
এ বিষয়ে খেলা দেখতে আসে চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের মোহাম্মদ রুবেল এর সাথে কথা বলে জানা যায়- তিনিও অনেক আগ্রহ নিয়ে খেলা দেখতে আসেন, মাঠে তেমন কোন দর্শক না থাকায় খেলার পরিবেশ ঘোমাট বেঁধে আছে। নেই অতীতে ন্যায় কোনো হুই-হুল্লা-উল্লাস। এ সময় তিনি বলেন- খেলাটি যদি শুক্র বা শনিবার আয়োজন করা যেত তাহলে কর্মব্যস্ত কর্ণফুলীবাসী কিছুটা আনন্দ উপভোগ করতে পারতো, জমে উঠতো ফুটবল ম্যাচটি।
সুমন, নাহিদ ও মনি হোসেন ৩ বন্ধু মিলে খেলা দেখতে আসা স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের একজন বলেছেন, ‘দেখুন দর্শকরাই হচ্ছে খেলার মাঠের প্রাণ। কর্ণফুলীর মানুষ এমনিতে ফুটবল ভক্ত কর্ণফুলীতে ফুটবল মানে হৈইচই, খেলা হলেই মাঠে উৎসব হয়। আজ পুরো মাঠ ফাঁকা। এভাবে খেলা দেখে আনন্দ নেই। অফিস ও স্কুল-কলেজ বন্ধের দিনে আয়োজন হলে দর্শকের সাড়া পাওয়া যেত।
কোনো ধরনের প্রচার-প্রচারণা ছাড়া তাড়াহুড়া করে কেন এমন বিশাল আয়োজন জানতে কর্ণফুলী উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী অফিসার ও কর্ণফুলী ক্রীড়া সংস্থা এডহক কমিটির সভাপতি মাসুমা জান্নাতের মোবাইলে বার বার কল দিয়ে সংযোগ পাওয়া যায় নি।