চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। একজন শিশুকে চুড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছাতে সুশিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। একটি শিশুকে সু শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হলে তিনটি উপাদান প্রয়োজন। শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থী। স্কুলে শিখন-বান্ধব পরিবেশ বজায় রাখা, শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার গুণগতমান উন্নয়ন শতভাগ নিশ্চিতকরণ, অপেক্ষাকৃত দুর্বল শিক্ষার্থীদের জন্য গৃহিত পদক্ষেপ সমন্বয় ও বাস্তবায়নসহ শিক্ষার্থীদের সার্বিক মানোন্নয়নের উদ্দেশ্যে অভিভাবকদের নিয়ে এক অভিভাবক সমাবেশের আয়োজন করে মানসম্মত ও যুগোপযুগি শিক্ষা প্রদানের অঙ্গিকার নিয়ে প্রতিষ্ঠিত চট্টগ্রাম মেমোরিয়াল স্কুল। আজ সোমবার (৩৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ইংরেজি) সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম মেমোরিয়াল স্কুল ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত সমাবেশে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক জনাব ইঞ্জি. শহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন হাজী সোনা মিয়া। চট্টগ্রাম মেমোরিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ সেলিম উদ্দিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম মেমোরিয়াল স্কুল এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও শিক্ষক জনাব মুহাম্মদ হাসান উল্লাহ । তিঁনি অভিভাবকদের অনুরোধ করেন বাচ্চাদের অতিরিক্ত চাপ না দিয়ে আনন্দমুখর শিক্ষা অর্জন করানোর জন্য। তিঁনি আরো বলেন একজন মা শিক্ষার্থীদের জন্য সবচেয়ে বড় শিক্ষক। একজন মা শিক্ষার্থীদের অনেক দূর নিয়ে যেতে পারেন যা পৃথিবীর অন্যকেও পারবে না। এতে আরো বক্তব্য দেন বিশেষ অথিতি আবু তাহের, জাহাঙ্গীর, পরিচালক সালাউদ্দিন মুরাদ। তিনি বলেন নিয়মিত বিদ্যালয়ে উপস্থিতি শিক্ষার্থীদের মান উন্নয়নে সহায়তা করে। এতে আরো বক্তব্য রাখেন মোহাম্মদ অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষক নাহিদ আল নয়ন, মাহফুজুর রহমান। শিক্ষকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ আবু হেনা আসিফ, বিবি হাজেরা মাইশা, আরিফা আকতার, ফারিয়া, মহিমা আকতার, কুসুম আকতার প্রমুখ। সমাবেশে বক্তারা বলেন, শিক্ষার মানোন্নয়নে অভিভাবকদের আরও সচেতন হতে হবে। এছাড়া বিদ্যালয়ের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে হলে সকলকে আন্তরিক হতে হবে। শিক্ষকদের সাথে অভিভাবকদের নিয়মিত যোগাযোগ রাখা, সন্তানের লেখাপড়ার খোঁজ-খবর নেয়ার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন বক্তারা। অনুষ্ঠিত অভিভাবক সমাবেশ ও বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল অনুষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীর হাতে ফলাফল কার্ড তুলে দেন উক্ত অতিথিরা বার্ষিক পরীক্ষায় পাশের হার শতভাগ ছিল।
ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীসহ বিপুল সংখ্যাক অভিভাবকদের উপস্থিতি ছিল।