মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন, কর্ণফুলী : গতকাল মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার ঐতিহ্যবাহী সামাজিক সংগঠন জাগরণী সংঘ ক্লাব কার্যালয়ে সাধারণ সভায় (২০২৫-২০২৬ সেশনের) ৩১ জন বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। গর্ভনিং বোর্ডের প্রধান উপদেষ্টা শাহজাহান ফারুকী, আহবায়ক ফরিদ আহমেদ জুয়েল ,সদস্য সচিব দেলোয়ার হোসেন ও রাজিবুল হক রাজিব এর উপস্থিতিতে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে রহিম আলীকে সভাপতি ও রুবেল খাঁনকে সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করা হয়েছে।
এছাড়াও আজিম আলী সাগরকে সিনিঃ সহ সভাপতি, মামুনুর রশিদ, রমজান আলী মুন্না, ফারুক আহমদকে সহ সভাপতি, মোহাম্মদ আজম আলী, মোহাম্মদ হুজ্জাতুল ইসলাম, ইরফান আহমেদ রুবেলকে যুগ্ম- সম্পাদক, কায়ছার আহমদকে সহ-সাধারণ সম্পাদক, আকরাম হোসেন সজীবকে সাংগঠনিক সম্পাদক, সাইফ উদ্দীন ও মোহাম্মদ আলিম উদ্দীনকে সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক, সোহেল হাযদারকে কোষাধ্যক্ষ, আকিদুর ইসলামকে সহ কোষাধ্যক্ষ, ইয়াছিন আরাফাত নাইমকে সমাজ-কল্যাণ সম্পাদক, মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেনকে সহ- সমাজ-কল্যাণ সম্পাদক, রিয়াদ রাজুকে সাংস্কৃতিক সম্পাদক, সাকিব আলীকে আপ্যায়ন সম্পাদক, মুহাম্মদ আকাশকে পাঠাগার সম্পাদক, পারভেজ আলীকে তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক, নওশদ আহমেদকে ধর্ম-সম্পাদক, শেখ তরিকুল ইসলাম সাফাতকে ক্রীড়া সম্পাদক, রিফাতুজ্জামান মাহিনকে সহ- ক্রীড়া সম্পাদক, মোহাম্মদ সাইফকে প্রচার-সম্পাদক, তৌহিদুল ইসলাম অপিকে সহ-প্রচার-সম্পাদক, এবং সাকিব আল হাসান, জাহিদ হোসেন, সাকিব খাঁনকে সদস্য মনোনীত করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী কমিটি ঘোষণা করা হয়।
এসময় গর্ভনিং বোর্ডের প্রধান উপদেষ্টা শাহজাহান ফারুকী বলেন, দেশের স্বাধীনতা পরবর্তীতে চরপাথরঘাটা ইউনিয়নসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন জনপদে অসামাজিক কার্যকলাপ বেড়ে চলছিল, অনুষ্টানের নামে মদ-জুয়া ও নাচ-গানের আসর বসত। এসব অসামাজিক কার্যকলাপ প্রতিরোধে ও এলাকার সার্বিক উন্নয়নে এক ঝাঁক তরুণ ও উদ্যোমী ও পরিশ্রমী যুবক নিয়ে ১৯৮০ সালের এ সংগঠনটি পথ চলা শুরু করে। এসময় তিনি নব গঠিত কার্যকরী পরিষদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন সামাজিক সংগঠন সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যাণে কাজ করে কিন্তু প্রকৃত কল্যাণ তখনই সম্ভব, যখন সেখানে সেবাই হবে মুখ্য উদ্দেশ্য। সমাজের উন্নতির জন্য শ্রম, জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে হবে। সামাজিক সংগঠনের লক্ষ্য উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে প্রতিটি সংগঠকদের ব্যাপক ভূমিকা পালন করতে হবে। সমাজে বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসতে হবে। দায়িত্বশীল ও দক্ষ নাগরিক হতে হবে। সমাজ থেকে বাল্যবিবাহ, যৌতুক প্রথা, নারী নির্যাতন, শিশু নির্যাতন, কিশোর অপরাধ, বৈষম্য, দূর করতে হবে। তরুণদের হাত ধরে সামাজিক উন্নয়ন সম্ভব। সমাজে বিদ্যমান বিভিন্ন অসংগতি দূর করার পাশাপাশি সামাজিক উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য উদ্যোমী ও পরিশ্রমী হতে হবে। তিনি (২০২৫-২০২৬ সেশনের) নবগঠিত কমিটির উত্তোরতর সফলতা কমানা করেন।
উল্লেখ্য ১৯৭৪ সালে গঠিত সংগঠনটি সামাজিক ও সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে এলাকায় অসামাজিক কার্যকলাপ প্রতিরোধ, উন্নয়নের অংশীদারিত্বে কাজ করে যাচ্ছে। যার ফলশ্রæতিতে ১৯৮০ সালে সমাজ সেবা অধিদপ্তরে সংগঠনটি রেজিষ্ট্রেশন (৮০৩) লাভ করে।