বান্দরবানের পাহাড়ী পথে সৌন্দায্যের হাতছানিতে যুক্ত হয়েছে নতুন মাইলফলক প্রথমবারের মতো চালু করা হয়েছে ছাদখোলা বাস। এর পূর্বে ভ্রমনপিয়াসু পর্যটক সৌন্দয্য অবলোকন করতে চাঁদের গাড়ি (জিপ) এর ভরসা করতে হতো। বান্দরবানে পর্যটকদের আনন্দময় অভিজ্ঞতা আরও সমৃদ্ধ করতে এবং বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগে নতুন সংযোজন । এই বাসে চড়ে পর্যটকরা উপভোগ করতে পারবেন বান্দরবান, চিম্বুক, নীলগিরি, মেঘলা, নীলাচলের পাহাড়, ঝর্ণা এবং প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকালে হিলভিউ কনভেনশন হলের সামনে এই ছাদখোলা বাসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও হোটেল হিলভিউ ট্যুরিস্ট বাস মালিক কাজল কান্তি দাশ।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকালে বান্দরবান পূরবী বাস মালিক সমিতির সভাপতি কাজল কান্তি দাশ এই ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, পর্যটকদের এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে ট্যুরিস্ট বাসের প্রয়োজনীয়তা আছে। জেলা প্রশাসকের অনুমতিতে আমরা ট্যুরিস্ট বাস চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে রোববার (১৭ নভেম্বর) এই বাস নীলগিরিতে পরীক্ষামূলকভাবে যাওয়ার পথে হিল বার্ড মোড়ে মাহিন্দ্র মালিক ও শ্রমিক মালিক সমিতি বাঁধা দেয়। এছাড়াও গাড়ি চালানো যাবে না বলে হুমকিও দেন তারা।
তিনি আরও বলেন, বান্দরবান হিলভিউ আবাসিক হোটেলের সামনে থেকে সকাল ৭টায় ছাদখোলা বাস ছেড়ে যাবে এবং দুপুরে বান্দরবান সদরে ফিরবে। পরে আবার বিকেল ৩টায় বান্দরবানের মেঘলা ও নীলাচল পর্যটনকেন্দ্রে রওনা হবে এবং সন্ধ্যায় পর্যটকদের নিয়ে আবার সদরে ফিরবে।
৩১ সিটের এই বাসে পাঁচ বছরের তদুর্দ্ধ বয়সীদের জন্য জনপ্রতি বান্দরবান-নীলগিরি বাস ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০০টাকা। আর মেঘলা-নীলাচলে বাসভাড়া ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পর্যটকদের চাহিদার উপর ভিত্তি করে বাসের সংখ্যা বাড়তে পারে।
এদিকে বান্দরবান পার্বত্য জেলায় পর্যটন শিল্টের প্রসারে এবং পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিতকরণে উন্নতমানের ছাদখোলা পর্যটকবাহী বাস চালু করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য পূরবী বাস মালিক সমিতি, মাইক্রোবাস-কার ও জীপ মালিক সমিতি এবং আবাসিক হোটেল মোটেল মালিক সমিতির কাছে একটি চিঠি দেন জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন।