মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন, কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) :
কর্ণফুলীর শিকলবাহা খালের নদীরক্ষা বাঁধের ব্লক ধসে পড়তে শুরু করেছে। উপজেলার শিকলবাহা খালের মূখ থেকে বখতিয়ার পাড়া পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার ব্লকের মধ্যে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন স্পটের ব্লক ধসে গেছে। কর্ণফুলী নদীর পানি বেড়ে যাওয়ার পর স্রোতের টানে ব্লকগুলো নেমে যাচ্ছে।
সম্প্রতি সময়ের ভারী বৃষ্টি ও নদীর অতিরিক্ত জোয়ারের ফলে পাড়ঘেঁষে বালি সরে গিয়ে গভীর হয়ে যাওয়ায় এই ধস হচ্ছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। এতে নতুন করে ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে শিকলবাহা খালের মূখ, মুহিষউড়া, দানু মেম্বারের বাড়ী ও ইছমত উল্লাহ শাহ মাজার সংলগ্ন এলাকা। নদীরক্ষা বাঁধ দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গতকাল রবিবার নদীপাড়ে এলাকায় পরিদর্শনে দেখা যায় অধিকাংশ এলাকার ব্লকগুলো নীচের দিকে ধসে পড়েছে। কোথাও ফাঁকা হয়ে গেছে, কোথাও ব্লক ধসে ভেতরের সাদা কার্পেট বেরিয়ে গেছে। কোথাও একেবারে ধসে গিয়ে দেখা দিয়েছে ভাঙন। এই অবস্থায় স্থানীয়দের মাঝে নতুন করে দেখা দিয়েছে ভাঙন আতংক। তাদের দাবি ধসে যাওয়া ব্লক সংস্কারে যেনো দ্রুত ব্যবস্থা নেন সংশ্লিষ্টরা।
সূত্রে জানা যায় বিগত ২৬ বছর পূর্বে আওয়ামী লীগ সরকার আমলে খালের ভাঙান রোধে ব্লক বসালেও এখন তা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
এই ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দৃষ্টি আকর্ষণ করে শিকলবাহা খাল পাড়ের বাসিন্দা ইকবাল হোসেন দৈনিক জনবাণীকে জানান দ্রুত সংস্করণ করে খালের পাড় ঘেঁষে পাথর ফেলার ব্যবস্থা করা না হলে বড় ধরনের ভাঙনের মূখে পড়তে হবে।
এদিকে খালের বাঁধ ভেঙে পড়ায় প্রতি বর্ষায় জোয়ারের পনিতে প্লাবিত হচ্ছে শিকলবাহার নিন্মঞ্চলগুলো ফলে বসতবাড়ী, স্কুল-মাদ্রাসা, ফসলি জমি
কর্ণফুলী নদীর অস্বাভাবিক জোয়ারে বিস্তির্ণ এলাকা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
জোয়ারে উপকূল প্লাবিত হয়ে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির মধ্যে পড়তে হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এ জোয়ারে ক্ষেতের বীজতলা নষ্টসহ ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। হাঁস-মুরগিসহ গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়ছেন গৃহস্থ ও চাষিরা।
ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউএনও বরাবর লিখতে অভিযোগ দিয়েছেন বলে সূত্র জানা যায়।
Discussion about this post