মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন, কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম):
চার দিনের টানা বৃষ্টি ও কর্ণফুলী নদীর অস্বাভাবিক জোয়ারে কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ১০ ফুটের বেশি জোয়ারে নদী এলাকা থেকে ১ কিলোমিটার দূরের লোকালয় পর্যন্ত প্লাবিত হয়েছে।
মঙ্গলবার পর্যন্তও কমেনি জোয়ারের পানি। শনিবার (১৭ আগস্ট) বিকাল ৩টা থেকে জোয়ারের পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে।
কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা উত্তর-পূর্ব অংশের ইব্রাহিম মাঝির বাড়ী, তাতীয়া পুকুর, মহিষউড়া, বল্কের পাড়, বখতিয়ার পাড়, বিল্লাপাড়াসহ ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের বেশ কিছু নিন্মাঞ্চল জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
এদিকে আহছানিয়া ও আমেনা রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জোয়ারের পানি শ্রেণি কক্ষে প্রবেশ করায় ব্যাহত হচ্ছে শ্রেণি কার্যক্রম।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ৪দিনের বৃষ্টি ও কর্ণফুলী নদীর অস্বাভাবিক জোয়ারে বিস্তির্ণ এলাকা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। লোকালয়ে জোয়ারের পানিতে দেখা যায়৷ এতে রাস্তাঘাট, বসতবাড়ি, ফসলি জমি, কাঁচা-পাকা নিচু ঘর পানিতে তলিয়ে গেছে।
এদিকে টানা চার দিন জোয়ারে উপকূল প্লাবিত হয়ে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির মধ্যে পড়তে হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এ জোয়ারে ক্ষেতের বীজতলা নষ্টসহ ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। হাঁস-মুরগিসহ গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়ছেন গৃহস্থ ও চাষিরা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কর্ণফুলী নদীর শিকলবাহার নতুন ব্রীজ এলাকা থেকে বখতিয়ার পাড় পযর্ন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার তীর রক্ষা বাঁধ অতীব জরুরি হয়ে পড়েছে।
সূত্রে জানা যায়-কর্ণফুলী নদীর উত্তর পাড়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে সুইস গেইট নির্মাণ পানি আটকে দেওয়ায় দক্ষিণ পাড়ের নিন্মাঞ্চল গুলো প্রতিবছর জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হচ্ছে।
শিকলবাহা মহিষউড়া এলাকার বাসিন্দা ইকবাল হোসেন, আব্দুল নবী ও সুরুজ আলী এবং ইব্রাহিম মাঝির বাড়ি এলাকার মোহাম্মদ সোলায়মান, জসীম উদ্দিন জানান জোয়ারের পানিতে দুইবার করে প্লাবিত হচ্ছে এলাকা। হাটবাজার ও অন্যান কাজের জন্য বাড়ি থেকে বের হতে হলে ভাটার সময়ের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। প্রাথমিক স্কুল শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতি বেড়েছে।
Discussion about this post